এখানে গত দুদিন ধরে বেশ বৃষ্টি হলো। গতকালতো বেশ ভালো রকম। সাথে বিদ্যুৎ চমকানো, বাজ পড়া। মানে যাকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাত বলে। তার ওপরে কারেন্ট নেই। চারিদিকে ঘুটঘুট্টে অন্ধকার আর বৃষ্টির শব্দ। ঘরে মোমবাতি জ্বালিয়ে চুপচাপ একা একা বসে আছি। স্ত্রী পুত্র পনের দিন হলো এখানে নেই। শুনেছি বৃষ্টি নাকি স্মৃতি ফিরিয়ে দেয়! সেই মোহে মাঝে মাঝে ঝিঁঝিঁপোকার ডাক শোনবার লোভে ব্যালকনির দরজা খুলছি। কিন্তু হায়...একটিবারের জন্যও ঝিঁঝিঁপোকার ডাক শুনতে পেলাম না! বরং দরজা খুলতেই হাওয়ার ঝাপটা আর বৃষ্টির ছাট্। সেই অনুভূতিতেও একটা শিরশিরানি আছে বটে, তবে চশমার কাঁচে বৃষ্টির ছাটে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাচ্ছিলো। আচ্ছা, স্মৃতিরা কখোনো ঝাপসা হয়ে যায়? হয়তো যায়, হয়তোবা যায় না...সে যাই হোক, আবার ঘরে এসে বসে থাকা এবং ঝাপসা চোখে মোমবাতির আলোর স্নিগ্ধতা অবলোকন করা। মোমবাতির অভিমান বোধহয় খুব ভারী!! কেমন পুড়ে যাচ্ছে অথচ সাধ্যমতো আলো দিয়ে যাচ্ছে। কোনো অভিযোগ নেই। অবশ্য অভিমান যেখানে ভারী, সেখানে অভিযোগের স্থান থাকে না! মোমবাতির আলোয় ঘরের মধ্যে কেমন একটা আলো-আঁধারি রহস্য খেলা করছিলো। সাথে বৃষ্টির শব্দের ছন্দ, আর "মাথার মধ্যে ঠোঁটের গন্ধ"...
সুমন সিনহা
২১/০৫/২০২৫
নীচের ফটো ও ভিডিও দুটো এই অধমেরই কাঁচা হাতে তোলা।
No comments:
Post a Comment