"একটা দুটো উড়ছে কাগজ, থমকে আছে পেন
সময় এসে জানতে চাইছে, নতুন কী লিখছেন?"
"পূর্ব পশ্চিমের" অতীন, অলি বা শর্মিলা অথবা "প্রথম আলোর" ভূমিসূতা অথবা "সেই সময়ের" নবীন কুমার কালজয়ী ঐতিহাসিক জীবন্ত হয়ে উঠেছিলো আপনার কলমের ছোঁয়াতে। "ইতিহাসের স্বপ্নভঙ্গ" শিখিয়েছিল রাজনৈতিক সচেতনাবোধ, সমাজতন্ত্রের ত্রুটি বিচ্যুতি। আর আপনার কবিতা উপলব্ধি করিয়েছিল প্রেম। "ভ্রু পল্লবে ডাক দিলে দেখা হবে চন্দনের বনে" বুঝিয়েছিল আকুলতা কি জিনিস, অপেক্ষাও কতো মধুর। "কেউ কথা রাখেনি" শিখিয়েছিল উপেক্ষার তীব্র জ্বালা, প্রেমিকা যখন "আজ সে যেকোনো নারী" হয়ে যায় আর তারপর যখন "আজ তার বুকে শুধুই মাংসের গন্ধ" পাওয়া যায়, তখন যন্ত্রণা শুধু কবিতার ভাষা হয়ে যায়। আপনার থেকেই শেখা। "আত্মপ্রকাশ" বা "যুবক যুবতীরা" অথবা বিভিন্ন সময়ে আপনার সাক্ষাৎকার শিখিয়েছিল স্পষ্টবাদিতা ও সততার সংজ্ঞা। মধ্যরাতে কলকাতার ফুটপাথ শাসন করা রাগী এক যুবকের কলমেই সৃষ্টি হয়েছিলো কবিতার এযাবৎকালের শ্রেষ্ঠ চরিত্র "নীরা"-- যাকে শুধু অনুভূতির গহীনে ধরা যায়, যার জন্য কোনো "কবিতার ভূমিকা" দরকার পড়ে না!
২০১২ সালের আজকের দিনটি ছিলো নবমী। উৎসবের আনন্দ অনেকটা ম্লান করে দিয়েছিলো আপনার চলে যাওয়া। আপনার "মহাভারত" লেখা অপূর্ন রয়ে গেলো। বোধহয় শুরুও করেছিলেন। আমরা বঞ্চিত রয়ে গেলাম আর একটা কালজয়ী সৃষ্টি থেকে। স্তব্ধ হয়ে গেলো সবকিছু।
"সত্যবদ্ধ অভিমান" আজ প্রতিজ্ঞা পালন করুক "এই হাত ছুঁয়েছে নীরার মুখ / আমি কি এ হাতে কোনো পাপ করতে পারি?" হে খালাসিটোলার কবি, আজকের এই সময়ের "স্তব্ধতার মিছিলে" "আমার সম্পূর্ণ আবেগ মোমবাতির আলোর মতো ভদ্র ও হিম" হয়েই থাক।
সুমন সিনহা
২৩/১০/২০২৪
ReplyForward |
No comments:
Post a Comment