Sunday, April 18, 2021

কিছু অপ্রাসঙ্গিক কথা !

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন "হীরের দামে আমি কাঁচ কিনব না"। আজ সেটাই হচ্ছে এবং বড় নগ্ন ও হিংস্র ভাবে। বহুত্ববাদের দামে জাতীয়তাবাদ কেনা হচ্ছে , মানবতার দামে দেশপ্রেম কেনা হচ্ছে। ইতিহাস বিকৃতির উন্মাদনা গণ-হিস্টিরিয়ার রুপ নিয়েছে। তথ্য বিকৃতি করার মধ্য দিয়ে একটা বড় অংশের মানুষ গর্ব বোধ করছেন। (তথ্য জানার অধিকারও দেশে লঘু করা হচ্ছে)। আরও এক শ্রেণির মানুষ যাদের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান, ইতিহাস বা তথ্য জানার বা যাচাই করার কোনো প্রয়োজনই বোধ করেন না। সাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দলগুলি এই দুই প্রকার মানুষজনকে নিজেদের সুবিধেমতো ব্যবহার করছে। গোদের ওপর বিষফোঁড়া একটা বড় অংশের কর্পোরেট মিডিয়া। ইতিহাস ও তথ্য বিকৃতির সাথে নিয়ম করে হিংসা ও ঘৃণা ছড়ানো যাদের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর সাথে যোগ হয়েছে whataboutery (এই আপাত-অশ্রুত ইংরাজী শব্দ টি সম্প্রতি ভারতবাসীকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও পরিচালক শ্রীমতী অপর্ণা সেন কে ধন্যবাদ জানাই)। whataboutery এর আরো ভয়ানক চেহারা লক্ষ করা যায় সামাজিক মাধ্যম গুলোতে। স্বাভাবিক বিচারবুদ্ধি ও জ্ঞান হারিয়ে এক কুৎসিত প্রতিযোগিতায় যেন মেতে উঠেছে একদল সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী। কোনোরকম ভিন্নমতে এরা সহিষ্ণু নয়, যুক্তিবাদী নয়। তাই শুরু হয়েছে অশালীন ও রুচিহীন ব্যক্তি আক্রমন। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ফেক নিউজ, ফেক ফটো ও ফেক ভিডিওর প্রচার।

এ এক বড় দুঃসময়ের মধ্যে বাস করছি আমরা।
এই দুঃসময়ের আর এক বৈশিষ্ট্য হল narrative পরিবর্তন করা। বিভিন্ন শব্দের আভিধানিক অর্থ ও তাদের প্রয়োগ বদলে যাচ্ছে বা সচেতন ভাবে বদলে দেওয়া হচ্ছে। এর পরিণাম ভয়ঙ্কর।আগামী প্রজন্মের কাছে আমাদের দায়বদ্ধতা থাকছে তো?
আভিধানিক অর্থ ও তার প্রয়োগ বদলানোর সাম্প্রতিকতম নমুনা দেখলাম জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা যখন তুলে নেওয়া হল। সেই বিশেষ মর্যাদা উঠে যাওয়ার জন্য গোটা দেশ নাকি 'সেলিব্রেট' করছে। আমাদের দেশেরই একটা অংশে যখন কোনো টেলিফোন পরিষেবা নেই, ইন্টারনেট পরিষেবা নেই, টেলিভিশন নেই, সংবাদপত্র নেই, বস্তুতঃ দেশের বাকি অংশের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত বিচ্ছিন্ন, যেখানে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের কারণে ছাত্রছাত্রীরা স্কুল কলেজ যেতে পারছে না, যেখানে বিভিন্ন বৈধ রাজনৈতিক দলের কর্মকর্তারা গৃহবন্দী, যেখানের বাতাসে যখন শুধুই সেনাবাহিনীর বুটের আওয়াজ তখন গোটা দেশ 'সেলিব্রেট' করছে। এও কি সম্ভব! মানবাধিকার লঙ্ঘনের নির্মমতায় এত উল্লাস! কিছুদিন আগে একটি সর্বভারতীয় মিডিয়াতে কলকাতা ও বোম্বে হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি জাস্টিস চিত্ততোষ মুখার্জীর একটা ইন্টারভিউ শুনছিলাম। উনি আবার সম্পর্কে শ্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ভাইপো। যাইহোক, সংবাদ পরিচারক যতবারই জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তোলা নিয়ে সেলিব্রেশন প্রসঙ্গ আনছেন, উনি কোনোভাবেই সেলিব্রেশন বলতে রাজি নন।! শেষে পরিচারক মহাশয় কিছুটা নাছোড়বান্দা হয়েই জিজ্ঞেস করলেন সেলিব্রেশন না হলে উনি কি বলবেন? মাননীয় বিচারপতি বেশ সুন্দর একটি ইংরাজী শব্দবন্ধ ব্যবহার করেছিলেন। "Satisfactional Consolation". Democracy এরও অর্থ বদলে দেওয়া হচ্ছে। এখন democracy মানে majoritarianism হয়ে গেছে। অথচ majoritarianism কেবল authoritarian state এর জন্ম দেয় মাত্র, যা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের সম্পূর্ণ বিপরীতে অবস্থান করে। এই 'মেজরিটি' সতীদাহ প্রথা রদ সমর্থন করেন নি, বিধবা বিবাহ সমর্থন করেন নি। সর্বোপরি এই মেজরিটি নিয়েই হিটলার ক্ষমতায় এসেছিলেন।!! তারপর একটি নির্দিষ্ট জাতের যেন কত মিলিয়ন লোককে হত্যা করেছিলেন?? ওনার পরিণতি অবশ্য ঐতিহাসিক সত্য।
সে যাই হোক আজকাল 'এক দেশ এক নিয়ম' বলে একটি শব্দবন্ধ বাজারে খুব চলছে দেখছি। মানুষের আবেগ নিয়ে ব্যবসা করলে সবচেয়ে বেশী লাভ হয় - এটা কর্পোরেট মিডিয়া এবং রাজনৈতিক নেতানেত্রীদের একাংশ খুব ভালো ভাবে বোঝেন। কারণ আবেগ কে উস্কানি দিলে মানুষের যুক্তিবাদী চেতনার প্রাধান্য দমিত হয়, অন্তত সাময়িক হলেও। ভারতবর্ষের চরিত্রগত বৈশিষ্ট্যই হল বৈচিত্রের মধ্যে ঐক্য (unity in diversity) যা ছোটবেলা থেকেই আমরা ইতিহাস বইতে পড়ে এসেছি। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশের ভাষাগত বৈচিত্র, খাদ্যাভাষের বৈচিত্র, সংস্কৃতির বৈচিত্র, লোকাচারের বৈচিত্র, জীবনযাপনের বৈচিত্র - এসবই আমাদের দেশের স্বকীয়তা ও নিজস্বতা। এই নানাবিধ বৈচিত্রই ভারতবর্ষের অন্তর্নিহিত শক্তির উৎস। চিরাচরিত এই 'বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান' ধারণাকে অস্বীকার করে সাধারণ মানুষের বিশ্বাস ও আবেগকে প্রতারণা করে 'এক দেশ এক নিয়ম' কে সচেতন ভাবে প্রচার করা শুধু ভারতবাসী কে অপমান করাই নয়, একটি ফ্যাসিস্ট শক্তির প্রবণতাকেই সূচিত করে মাত্র। সম্ভবত এতসব বৈচিত্রকে মাথায় রেখেই হয়তো দেশের সংবিধানে 370, 371 এবং 371 A থেকে 371 H ও 370 J ধারাগুলো আনা হয়েছিল। উপরোক্ত ধারাগুলো অনুযায়ী ভারতবর্ষের তেরোটি রাজ্য বিশেষ মর্যাদা বা বিশেষ সুবিধে প্রাপ্ত রাজ্য। এরা হল অরুণাচল প্রদেশ, মনিপুর, মিজোরাম, মেঘালয়, উত্তরাখন্ড, ত্রিপুরা, আসাম, হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, সিকিম, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র ও গুজরাট রাজ্য (জম্মু কাশ্মীর এখন আর রাজ্য নেই)। আশ্চর্যের বিষয় এই যে এতগুলো বিশেষ সুবিধেপ্রাপ্ত রাজ্য নিয়ে সরকারের বা আমাদের কোনো সমস্যা নেই, সমস্যা শুধুই জন্মু কাশ্মীর নিয়ে।! সংবিধানের উপরোক্ত ধারা গুলো নিয়ে সরকারের বা আমাদের কোনো সমস্যা নেই, সমস্যা শুধুই 370 নিয়ে।!! কি কিউট না? ওপরের তেরোটি রাজ্যের মধ্যে সম্ভবত এগারোটি রাজ্যে বাইরের বাসিন্দারা জমি কিনতে পারেন না। তবুও শুধু জম্মু কাশ্মীর! উত্তর পূর্বের দুটি রাজ্যে যেতে আলাদা পারমিট লাগে। জম্মু কাশ্মীরে যেতে অন্তত আলাদা পারমিট লাগত না।
জম্মু-কাশ্মীর ও 370 ধারা সম্পর্কিত এত চর্চা এখন হচ্ছে যে কয়েকটি তথ্য তুলে ধরতে চাই।
একটি কৌশলী প্রচেষ্টা লক্ষ করা যাচ্ছে যে আর্টিকেল 370 যা জম্মু-কাশ্মীরের ভারত ভুক্তি উপলক্ষে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিলো তা নাকি নেহরুর একার মস্তিষ্কপ্রসূত। ভারতীয় সংবিধান (আর্টিকেল ৩৭০ সমেত সম্পূর্ণ সংবিধান) ২৬শে নভেম্বর, ১৯৪৯ সালে তৎকালীন জাতীয় আইন পরিষদে (গণপরিষদ) গৃহীত হয়েছিল এবং তা সর্বসম্মতিক্রমে। এই জাতীয় আইন পরিষদে মোট ২৯৯ জন সদস্য ছিলেন যারা বিভিন্ন প্রাদেশিক আইন পরিষদগুলির দ্বারা নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই ২৯৯ জন সদস্যেরই সম্মতি লিপিবদ্ধ হয়েছিল যখন প্রতিটি সদস্য দু দুবার করে এই ড্রাফ্ট সংবিধানের কাগজগুলিতে নিজ হস্তে স্বাক্ষর করেন ২৪শে জানুয়ারী, ১৯৫০ সালে। এই স্বাক্ষরকারী সদস্যদের অন্যতম ছিলেন শ্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। জাতীয় আইন পরিষদের সেই সভায় শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় আর্টিকেল 370 নিয়ে কোনো প্রতিবাদ জানান নি বা ওঁনার কোনো বিরুদ্ধ বক্তব্য বা নোট অফ ডিসেন্ট নেই। আরো মজার ব্যাপার হলো যে আর্টিকেল ৩৭০ (যা সেই সময়ে ছিল ৩০৬এ) সমেত ঐ খসড়া সংবিধান জাতীয় আইন পরিষদে পেশ করেন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল। অনেকেই ওঁনাকে 370 ধারার আর্কিটেক্টও বলে থাকেন। তবুও শুধু নেহেরুর কারসাজি!
এ প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে সে সময় শ্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে ছিলেন এবং নেহেরু মন্ত্রিসভায় শিল্পমন্ত্রী (Minister for industry and supply) ছিলেন। 1950 সালের 'দিল্লী চুক্তি' নিয়ে নেহেরুর সাথে ওঁনার মতপার্থক্য হয় ও জাতীয় কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়ে 1951 সালের 21শে অক্টোবর RSS এর সাহায্য নিয়ে উনি ভারতীয় জনসঙ্ঘ (BJS) প্রতিষ্ঠা করেন। ভারতীয় জনসঙ্ঘ প্রতিষ্ঠার পর থেকে উনি অবশ্য আর্টিকেল 370 এর প্রবল বিরোধিতা করেছেন।
আসলে দাড়ি আর টিকির বিবাদ জিইয়ে রাখতে পারলে জ্বলন্ত সমস্যা গুলো থেকে জনগণের দৃষ্টি ঘুরিয়ে রাখা যায়। ধর্মের মোহ এমন ভাবে অন্ধ করে দেয় যে দেখার ও প্রশ্ন করার ক্ষমতাটাই প্রায় হারিয়ে যায়। আর সেই ফাঁকে আপনি জানতেই পারবেন না কখন কত লক্ষ কোটি টাকা কর্পোরেট লোন মুকুব হয়ে গেছে, বৈদেশিক ঋণ কত কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে, কতজন দেশপ্রেমিক শিল্পপতি ব্যাঙ্ক লোন শোধ না করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে, আপনি জানতে পারবেন না কিভাবে ছোট গাড়ি শিল্প আশঙ্কাজনক অবস্থায় চলে গেলো, কেন কত হাজার কোটি টাকার ছোট গাড়ি বিক্রি না হয়ে পড়ে আছে এবং গাড়ি কোম্পানিগুলো উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে, কিভাবে লাভজনক PSU ONGC লোকসানে চলে গেল।ঠিক যেমন আপনি এখনো জানতে পারেননি যে নোটবন্দির ফলে কত কালো টাকা উদ্ধার হয়েছে ও অর্থনীতির ঠিক কী উন্নতি হয়েছে বা ক্রসবর্ডার টেররিসম্ কতটা কমেছে। আপনি জানতে পারেননি যে নোটবন্দির ফলে ঠিক কত মিলিয়ন লোক কর্ম সংস্থান হারিয়েছেন। আপনি জানতে পারেননি যে কেনো কিভাবে বেকারত্বের হার সর্বোচ্চ সীমায় চলে গেল, জিডিপি গ্রোথ কেনো কমে গেলো, এয়ারলাইন্স কেনো বন্ধ হয়ে গেলো বা কত কোটি টাকা লোকসানে যাচ্ছে, কেনো রেলদপ্তর কর্মী ছাঁটাই এর নোটিশ দিচ্ছে। আপনি আরো অনেক কিছুই জানতে পারবেন না বা জানতে পারেন নি। কৃষকরা কেনো ফসলের ন্যায্য দাম পায় না, কেনো একই শ্রমের জন্য একই বেতন চালু হয় না আমরা জানিনা। ধর্ম নিয়ে জনগণ কে মাতিয়ে রাখলে দিবাস্বপ্ন দেখানো অনেক সহজ হয়ে যায়। এত কিছুর পরেও পাঁচ হাজার ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতির দিবাস্বপ্ন দেখানোর সাহস পাওয়া যায়।
আরো একটি কথা এই ফাঁকে বলে রাখি। বাইরের লোক কাশ্মীরে জমি কিনতে পারবেন না - এই আইন তৈরী হয়েছিল কাশ্মীরী পণ্ডিতদের দাবি তে। 1935 সালে রাজা হরি সিং এই আইন চালু করেন। পরবর্তী কালে ভারত সরকার এই আইন কে মান্যতা দেয়। কত শতাংশ সাধারন মানুষ অন্য রাজ্যে জমি কেনেন তার একটা পরিসংখ্যান যদি কোথাও পাওয়া যেতো!
যাই হোক দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বা অখণ্ডতা রক্ষার স্বার্থে ভারত সরকার 370 বা অন্য কোনো ধারা প্রয়োজনে সংশোধন বা বিলোপ করতেই পারে। কিন্তু এত অগণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে!! সংসদে কোনো আলোচনা নেই, বিতর্ক নেই, প্রশ্নোত্তর পর্ব নেই... একজন পড়ে শুনিয়ে দিলেন! ভারতীয় সংসদ একটা নোটিশ বোর্ড যেন! স্বাধীনতার পর থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল রাজ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে কিন্তু এই প্রথম কোনো রাজ্য কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে অবতরণ করলো! তাও আবার সম্পূর্ন সামরিক উদ্যোগে। আর সেটাও নাকি গনতন্ত্রের জয়! মেজরিটির উল্লাস কখনো গনতন্ত্রের উৎসব হতে পারে না। 370 ধারা লোপ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যে যুক্তিগুলো পেশ করেছেন, ভারতীয় সংসদ এত ঠুনকো ও হাস্যকর যুক্তির সাক্ষী এর আগে থেকেছে কিনা আমার জানা নেই। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে এটি একটি সম্পূর্ন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত এবং এতে ভারতবর্ষের ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণা জোর ধাক্কা খেয়েছে।একটি নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠীর সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য তার পর থেকে বেড়েই চলেছে।
ঋণ স্বীকার : পার্থ মুখোপাধ্যায়, দেবায়ন সেনগুপ্ত, কৃষ্ণেন্দু পোদ্দার, অনিন্দ্য সরকার
সুমন সিনহা
১৬/০৮/২০১৯

No comments:

এলোমেলো ভাবনা - ১২

আজ  সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্মদিন। সুনীল বাবুর উপন্যাস, কবিতা বা ইতিহাসধর্মী লেখালেখি অল্পস্বল্প যেটুকু পড়েছি, ভেবেছিলাম সেসব নিয়েই "অন...