Monday, April 19, 2021

উৎপল দত্ত

১৯২৯ সালের আজকের দিনেই অবিভক্ত বাংলার বরিশালে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। প্রবাদপ্রতিম অভিনেতা ও পরিচালক এবং আধুনিক ভারতীয় থিয়েটারের অবিসংবাদী ব্যাক্তিত্ব উৎপল রঞ্জন দত্ত ওরফে উৎপল দত্ত ছিলেন ইংরেজী সাহিত্যের একজন পণ্ডিত ব্যক্তি। আমৃত্যু গণনাট্য আন্দোলনের কর্মী হিসেবেই নিজেকে পরিচয় দিতে ভালোবাসতেন। প্রতিবাদের মাধ্যম হিসেবে সর্বদা মঞ্চ কে ব্যবহার করে এসেছেন। কখনো রাজনৈতিক মূল্যবোধ বা আদর্শের সাথে আপোষ করার প্রয়োজন পড়েনি। তিনি ছিলেন আক্ষরিক অর্থেই মঞ্চের কারিগর। কৌতুক অভিনেতা হিসেবে তাঁর যেমন খ্যাতি ছিল, খলনায়কের ভূমিকায়ও সমান দক্ষতায় অভিনয় করে গেছেন। মননশীল সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি অজস্র বানিজ্যিক বাংলা ও হিন্দি ছবি তে সমান পারদর্শিতায় অভিনয় করেছেন। শ্রেষ্ঠ অভিনেতার জাতীয় পুরষ্কার ছাড়াও একাধিক জাতীয় পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছেন। সাফল্যের চূড়ায় থেকেও ওঁনার পা সবসময় মাটিতেই থেকেছে। দিনের শেষে নিজেকে নাট্য আন্দোলনের একজন কর্মী ও বামপন্থী রাজনৈতিক দর্শনের একজন চর্চাকারী হিসেবেই পরিচয় দিয়ে এসেছেন। নির্ভীক চিত্তে নিজের মতামত প্রকাশ ও নিজস্ব প্রতিবাদের ধরণের জন্য উৎপল দত্ত এক ব্যতিক্রমী ব্যাক্তিত্ব হিসেবেই ইতিহাসে পরিগণিত হবেন। জন্মবার্ষিকী তে এই ক্ষণজন্মা বাঙালি কে শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই।

১৯৯২ সালে সত্যজিৎ রায় মারা যাওয়ার পর ভারত সরকারের National School of Drama ও Sahityo Akademi এর আমন্ত্রণে উৎপল দত্ত যে বক্তৃতা টি দিয়েছিলেন, সেখান থেকেই ওঁনার মেধা, মনন, নিজস্বতা (originality) ও জ্ঞানের একটা আন্দাজ পাওয়া যায়। নিচে সেই বক্তৃতার লিঙ্ক টি দিলাম। সময় পেলে ও সম্ভব হলে শুনবেন।

সুমন সিনহা
২৯/০৩/২০২১






No comments:

এলোমেলো ভাবনা - ১২

আজ  সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের জন্মদিন। সুনীল বাবুর উপন্যাস, কবিতা বা ইতিহাসধর্মী লেখালেখি অল্পস্বল্প যেটুকু পড়েছি, ভেবেছিলাম সেসব নিয়েই "অন...